আমার বিয়ে কবে কার সাথে হবে

আমরা অনেকেই  আছি যাদের সময় মত বিয়ে হচ্ছে না তারা বিভিন্ন সময় ইন্টারনেটে আমার বিয়ে কবে হবে লিখে সার্চ করে আজ আমরা বিয়ে না হলে কি করা উচিত বা আমার বিয়ে হচ্ছে না কেন তা নিয়ে সম্পূর্ণ একটি বিস্তারিত আলোচনা করব। তো চলুন আর দেরি না করে আমার বিয়ে কবে হবে

আমার-বিয়ে-কবে-কার-সাথে-হবে

আমার বিয়ে কার সাথে হবে, বিয়ে হচ্ছে না কেন, বিয়ে না হলে কি কি করা উচিত, ৪০ দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল, ছেলেদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল, ৭ দিনে বিয়ে হওয়ার আমল, তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল, তিন দিনের  ভিতরে বিয়ে হওয়ার আমল, এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব প্রথমেই আমরা জেনে নেই আমাদের সময় মত কেন বিয়ে হচ্ছে না সেই সম্পর্কে

পেজ সূচিপত্রঃ আমার বিয়ে কবে কার সাথে হবে



আমার বিয়ে কবে কার সাথে হবে


আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যা খাস ভাবে সেই মানুষদের জন্য যার বিয়ে হতে দেরি হচ্ছে। আর তাদের জন্য যারা চিন্তায় মগ্ন রয়েছেন দেরি করে বিয়ে হওয়া কি ব্যর্থতা। আপনার বিয়ের ব্যাপারে মানুষ কথা শোনায় আর আপনি এই মানুষদের কথায় কষ্ট পান। আপনি কি কখনো রাতে লুকিয়ে অশ্রু ফেলেছেন যদি আপনি হ্যাঁ বলেন তো থেমে যান। কেননা আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার মনের সেই আশার আলো নিয়ে আসবে। তো চলুন সেই নিশানি ব্যাপারে জেনে নেই।

মানুষের কথা আর সমাজ কি বলে। সমস্ত জায়গায় সকল মজলিসে প্রশ্ন এটাই হয় এখনো বিয়ে করোনি কেন? এই কথাটি সুরের মত মনকে কেটে দেয় কিন্তু মনে রাখবেন মানুষের কথা শুধু একটি পরীক্ষা। আসল ফয়সালা শুধু আল্লাহরই হয় মানুষের কথা আপনার ওজন কমায় না। কেননা আল্লাহর ওয়াদা সর্বদা আমাদের সাথে থাকে এই সময়তে আর দেরিতে বিয়ে হওয়া ইসলামের একটি সুন্দর পরীক্ষা।

আরিয়ার কাহিনী শবর আর দোয়ার শক্তি, আরিয়ার চোখেও এই প্রশ্ন ছিল। একদিন বিয়ে বাড়ির চমকাতে থাকা আলোতে সবাই হাসছিল  কিন্তু সে একা আর খুবই দুঃখী ছিল। মানুষ বলছিল এখন তো বয়স পেরিয়ে গেছে আর তার মন বলছে আমার সব সময় শেষ হয়ে গেছে। সময় শেষ হয়ে গেছে কিন্তু আরিয়া মনকে মজবুত করল আর দোয়া করলো। রবের প্রতি দোয়া আর তাকওয়া, রাত রাতগভীর হলো আর সবাই ঘুমিয়ে গেছিল।

আরিয়া চোখ খুলল চোখে অশ্রু ছিল মন ভাঙ্গা ছিল সে দোয়া করলো, হে আল্লাহ আমার মন ভেঙ্গে গেছে আমার জন্য সেই সম্পর্ক সেই রাস্তা বানাও যা আমাকে তোমার দিকে নিয়ে যাবে। এই দোয়া আর তার সবর আরিয়ার এক মিসারি ছিল তসবির জারিআয় সে ইসলামিক মোটিভেশন হাসিল করল। সেখানে শবর আর আসা একসাথে ছিল দেরি করে বিয়ে ব্যর্থতা নয় আল্লাহর কাছে সুরক্ষিত রয়েছে।

এখন যে রাজ আমি আপনাকে বলতে চলেছি সেটা সর্বদা মানুষ না দেখা করে। দেরি করে বিয়ে না তো ব্যর্থতা বরং আল্লাহ নেওয়া পরীক্ষা। আল্লাহ কখনো দেরি করেন না তিনি আপনার নসিবের জন্য উত্তম পরিকল্পনা তৈরি করেন। এ সময় আপনার জীবনে এক খাস উদ্দেশ্য নিয়ে আসে যাতে আপনার সম্পর্ক পুরা আর পারফেক্ট হয়। যা আপনার জন্য বরকতময় আর শান্তির জারিয়া হয়ে যায়।

কুরআনের ওয়াদা, সবর আর আর আবেগের সাহারা নেই। আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেছেন আর যে সবর করে তার জন্য বেহিসাব সফলতা রয়েছে। সূরাতুল জুমুয়াল আয়াত নাম্বার ১০ অর্থাৎ আপনার করা শবর দেরি করে বিয়ের অপেক্ষায় যায়া হয় না। দুনিয়ার জীবন তো আবেদন আসল পুরস্কার যার কাছে রয়েছে তিনি আল্লাহ যে আশা একিমকারীদের সেটাই দেন।

দেরি করে বিয়েতে হিকমত কি আছে চিন্তার তকদীর আর দেরি করে হিকমত আরিয়া বুঝে গেল দেরি তার কমজোরি নয় বরং তার হিকমত সে দুনিয়ার কথা শোনা ছেড়ে দিল। আর মনকে রবের ওয়াদায় বেঁধে দিল আল্লাহ তাকে সেই সম্পর্ক দিল যে যার জীবনে শান্তি আর রহমতের জারিয়া হল। এটাই তো সেই সময় ছিল। যখন সে জানল যে সমস্ত জিনিস সময় মতই পাওয়া যায়। আর আল্লাহর উদ্দেশ্যে সর্বদা সবসময় উত্তম হয়।

এই নিশানি আপনার জন্য বার্তা সমাজের কথার জবাব। প্রিয় বোনেরা যদিও আপনারাও অপেক্ষায় রয়েছেন তো চিন্তা করবেন না মানুষের কথা কি মনে লাগাবেন না। কেননা আল্লাহ জানেন আপনার জন্য উত্তম সময়, উত্তম সম্পর্ক কোনটি। মনে রাখবেন যে জিনিস আল্লাহ আপনার জন্য রেখেছেন সেটা কখনো আপনার থেকে দূরে হয় না। আপনার নসিবে সেটাই হবে যেটা আল্লাহ চাইবে। সবর আর তাওয়াক্কুলের জারিয়ায় দোয়ার আমল নিয়ে আসে রাতে মন থেকে এই দোয়াই করুন। 

আমার সমস্যার সমাধান বের করে দিন আর আমাকে সেইটা দান করুন যা আমার কল্পনার থেকেও উত্তম হবে। নামাজে আর তাহাজ্জুদে নিজের দেওয়াকে জারি রাখুন দোয়া আর আমলের সাথে। সবর আপনার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার যেটা জীবনে সফলতা নিয়ে আসে। তো প্রিয় ভাই ও বোনেরা দেরিতে বিয়ে কোন ব্যর্থতা নয় এটা আল্লাহর হিকমত হয়। আপনার পরীক্ষা দ্বারাই আপনার সুন্দর জীবন তৈরি হয় তাই ধৈর্য হারাবেন না আল্লাহ তাআলার উপর ভরসা ও বিশ্বাস রাখুন। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা উত্তম সময় আপনাকে উত্তম জরি দান করবেন।

ছয়টি আলামত আপনার মধ্যে থাকলে তাড়াতাড়ি বিয়ে হবে

প্রিয় পাঠক আজকের বিষয়টি এমন এক বিষয়ে যা আপনাদের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে। এমন একটি বিষয় নিয়ে আজ আমরা কথা বলব যা প্রায় প্রত্যেক তরুণ তরুণীর জীবনের সাথে জড়িত আর সেটি হলো বিয়ে। হ্যাঁ বিয়ে শুধু একটি সামাজিক বন্ধন নয় এটি একটি ইবাদত। একটি পবিত্র সম্পর্ক যেখানে দুটি আত্না এক হয়ে যায় আল্লাহর রহমতের ছায়ায়। কিন্তু আমরা অনেকেই জীবনের পর্বে পৌঁছানোর আগেই ভয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগি। আমরা ভাবতে থাকি কখন আমার বিয়ে হবে? আল্লাহ কি আমার জন্য কাউকে লিখে রেখেছেন? আমি কি কখনো এমন একজনকে পাব? যে আমাকে সত্যিকারের ভালবাসবে? এই প্রশ্নগুলো আমাদের অন্তরকে অশান্ত করে তোলে।

অনেক সময় রাত জেগে আমরা আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করি, দোয়া করি, হে আল্লাহ আমার জন্য হালাল সঙ্গিনী নির্ধারণ করে দিন। যে আমার ঈমানের সহযাত্রী হবে। আল্লাহ তা'আলা পবিত্র কুরআনে বিয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে বলেছেন, তোমাদের মধ্যে যারা অবিবাহিত আছে এবং তোমাদের দাস-দাসীদের মধ্যে যারা সৎ তাদেরকে বিয়ে দিয়ে দাও। এখানে আল্লাহ তা'আলা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে বিয়ে শুধু একটি সামাজিক রীতি নয় বরং এটি একটি ঈমানের অঙ্গ।

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন কোন ব্যক্তি বিয়ে করে তখন সে তার দিনের অর্ধেক পুণ্য করে ফেলে। অর্থাৎ বিয়ে কেবল মানবীয় প্রয়োজন নয় এটি আমাদের ঈমানকে পূর্ণ দেই। ভাই ও বোনেরা হয়তো আপনি অনেকবার ব্যর্থ সম্পর্ক দেখেছেন হয়তো আপনার জীবনে এমন অনেক মানুষ এসেছে যারা আপনাকে কষ্ট দিয়ে চলে গেছে, হয়তো আজো আপনি সেই মানসিক আঘাত বয়ে বেড়াচ্ছেন। আপনি হয়তো ভাবছেন আমার জীবনে সত্যিই কি আল্লাহ কাউকে পাঠাবেন


হ্যাঁ নিশ্চয়ই পাঠাবেন আল্লাহ কখনো তার বান্দাকে একা ছেড়ে দেন না আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব যে ছয়টি আলামত দেখলে বুঝবেন শীঘ্রই আপনার বিয়ে হতে চলেছে। প্রতিটি আলামত কুরআন ও সহীহ হাদিসের আলোকে ব্যাখ্যা করব। আর আপনাদের হৃদয়ে নতুন আসা জ্বালিয়ে দিবো ইনশাল্লাহ। তাই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন কারণ হয়তো এই পোস্টটির শেষে আপনি উপলব্ধি করবেন আল্লাহ সত্যি আপনার জন্য একজনকে লিখে রেখেছেন।

ভাই ও বোনেরা আজকের এই পোস্টটি শুধু তথ্যের জন্য নয় বরং আপনার হৃদয়কে শান্তি দেয়ার জন্য। তাই দয়া করে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন আর আপনি যদি এই মুহূর্তে একাকীত্ব বুকে থাকেন। তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্যই। আপনি কি জানেন কখনো কখনো আল্লাহু তালা আমাদের বিয়ের আগে কিছু ইশারা দেন এমন কিছু আলামত যা বোঝাই শীঘ্রই আপনার জীবনে সেই বিশেষ মানুষটি আসতে চলেছে। আজ আমরা সেই ছয়টি বিষয় নিয়েই আলোচনা করব। প্রতিটি আলামতের সাথে থাকবে কুরআন হাদিসের এবং জীবনের বাস্তব উদাহরণ। শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গেই থাকুন। কারণ ছয় নাম্বার আলামতটি হয়তো আপনার জীবনের জন্য সবচেয়ে বড় সুসংবাদ হতে পারে তো চলুন শুরু করি।

 আপনার অন্তরে বিয়ের প্রতি শক্ত এবং পবিত্র আকাঙ্ক্ষা

প্রথম আলামতঃ আপনার অন্তরে বিয়ের প্রতি শক্ত এবং পবিত্র আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি হওয়া। প্রিয় ভাই ও বোনেরা বিয়ের আগে আল্লাহ তায়ালা বান্দার অন্তরে একটি বিশেষ আকাঙ্ক্ষা জাগিয়ে দেন। এটি শুধু শারীরিক বা মানসিক চাহিদা নয় বরং এটি একটি পবিত্র আকাঙ্ক্ষা যা আপনাকে হালাল সম্পর্কে দিকে টেনে নেই। আপনি অনুভব করতে থাকেন যে আমার জীবনে এখন একজন হালাল সঙ্গীর প্রয়োজন। এটিই সেই সময় যখন আপনার মন থেকে গুনাহের পথে যাওয়ার ইচ্ছা ধীরে ধীরে কমে যায় এবং আপনার হৃদয় হালাল সম্পর্কে প্রতি আকৃষ্ট হয়।

আল্লাহ তাআলা বলেন তার নির্দেশন সময়ের মধ্যে এটি অন্যতম যে তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকেই জোড়া সৃষ্টি করেছেন। যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও এবং তিনি তো আমাদের মাঝে ভালোবাসা দয়া সৃষ্টি করে দিয়েছেন। এখানে শান্তি পাওয়া কথাটি লক্ষ্য করুন যখন আপনার অন্তর বিয়ের জন্য প্রস্তুত হয় তখন আপনি গভীরভাবে অনুভব করেন যে আপনার জীবনের শান্তি আনার জন্য একজন হালাল সঙ্গীর প্রয়োজন। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন হে যুব

সমাজ তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে তারা যেন বিয়ে করে কারণ এটি তোমার চোখকে নত করে এবং তোমার লজ্জাস্থানকে হেফাজত করে। এখান থেকে বোঝা যায় বিয়ের আকাঙ্ক্ষা শুধু প্রয়োজনীয় নয় এটা ঈমান রক্ষার উপায়ও বটে। ভাই ও বোনেরা লক্ষ্য করুন আগে হয়তো আপনি বিয়ে নিয়ে তেমন ভাববেন না কিন্তু হঠাৎ আপনার বিয়ের প্রতি আগ্রহ হচ্ছে, অশ্লীল থেকে দূরে থাকতে ইচ্ছা জাগছে, নামাজে বসে বসে আপনি একজন হালাল সঙ্গীর জন্য কান্না করছেন। এটি আল্লাহর পক্ষ

থেকে একটি ইশারা হতে পারে যে শীঘ্রই আপনার জন্য একজনকে নির্ধারণ করতে চলেছেন। এই সময় আপনি লক্ষ্য করবেন যে আপনার দোয়ার ধরন বদলে গেছে। আপনি আর সাধারণভাবে দোয়া করছেন না বরং প্রতিটি সিজদায় আল্লাহর কাছে বলছেন, হে আল্লাহ আমার জন্য একজন নেককার সঙ্গিনী নির্বাচন করে দিন এটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শিখানো সুন্নাহ। যখন আপনার অন্তর পবিত্র আকাঙ্খায় ভরে যায় তখন আপনি হারাম পথ থেকে দূরে সরে আসতে শুরু করেন। কারণ

আপনি জানেন শুধু বিয়েই আপনার ঈমানকে রক্ষা করবে। এটি আল্লাহর বিশেষ রহমতে লক্ষণ  যদি আজ আপনার অন্তরে এই পবিত্র আকাঙ্ক্ষা জন্ম নেই তবে বুঝে নিন আল্লাহ তা'আলা আপনার দোয়া শুনছেন। তিনি আপনার হৃদয়কে প্রস্তুত করছেন যাতে আপনি নির্ধারিত সঙ্গীর জন্য প্রস্তুত হন। এটি একটি শুধুমাত্র সাধারণ অনুভূতি নয় এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি ইশারা যে আপনি শীঘ্রই সে সম্পর্কের দিকে পা রাখতে চলেছেন যা আপনার ঈমানের অর্ধেক পূর্ণ করবে।

আপনার জীবনে হঠাৎ স্থিরতা ও শান্তি নেমে আসে

দ্বিতীয় আলামতঃ আপনার জীবনে হঠাৎ স্থিরতা ও শান্তি নেমে আসে। প্রিয় পাঠক কখনো কি লক্ষ্য করেছেন। আপনার জীবনে একসময় যা ছিল যখন অস্থিরতা ভয় দুশ্চিন্তা আর একাকীত্ব আপনাকে গ্রাস করেছিল। কিন্তু হঠাৎ একদিন মনে হল যেন আপনার হৃদয় অদ্ভুতভাবে শান্ত হয়ে গেছে এই শান্তি কোথা থেকে আসে জানেন এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি ইশারা হতে পারে। যে আপনার জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হতে চলেছে আল্লাহ তাআলা বলেন, তিনি সেই সত্তা যিনি মুমিনদের অন্তরে প্রশান্তি নাযিল করেছেন।

যখন আল্লাহ চান আপনার জীবনে নতুন কিছু আনতে তখন তিনি প্রথমেই সাকিনা নামক এই প্রশান্তি নাযিল করেন। এটি এমন এক অবস্থা যখন বাহিক্য কলাহল থাকলেও আপনার মন শান্ত থাকে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক হাদিসে বলেছেন, যখন আল্লাহ কোন বান্দার জন্য কল্যাণ চান তখন তিনি তার অন্তরে প্রশান্তির নাযিল করেন। অর্থাৎ আপনি যদি হঠাৎ এমন অনুভব করেন যে আপনার মন স্থির হচ্ছে, দুশ্চিন্তা কমছে তবে এটি হতে পারে আল্লাহর পক্ষ থেকে সেই নতুন জীবনের পূর্বাভাস। 

আপনি লক্ষ্য করবেন আগে যে বিষয়গুলো নিয়ে আপনি অস্থির ছিলেন সেগুলো ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে যাচ্ছে। আপনি ভবিষ্যৎ নিয়ে ভুগতেন আর এখন ততটা ভয় পাচ্ছেন না। আপনার অন্তরে এক অজানা আশা জন্ম নিচ্ছে হঠাৎ মনে হচ্ছে জীবনের সবকিছু যেন  ঠিকঠাক হয়ে যাবে। এগুলো আল্লাহর পক্ষ থেকে সাকিনা অর্থাৎ শান্তি এবং এটি এমন এক সময় নেমে আসে যখন বিয়ের দরজা খুলতে চলেছে।

ধরুন একজন বোন ছিলেন যিনি সব সময় দুশ্চিন্তায় ভুগতেন আমার কি বিয়ে হবে? আমি কি কখনো একজন নেককার স্বামী পাবো? তিনি নিয়মিত নামাজ পড়তেন কান্না করে দোয়া করতেন। একদিন তিনি হঠাৎ লক্ষ্য করলেন আর সেই অস্থিরতা নেই হৃদয় শান্ত। এক মাসের মধ্যেই আল্লাহ তার জন্য এমন একজন সঙ্গী পাঠালেন যিনি তার দোয়ার প্রতিফলন হয়ে এলেন। আপনি যত বেশি দোয়া করবেন আপনার অন্তরে তত বেশি প্রশান্তি নেমে আসবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন দোয়াই হলো মুমিনের অস্ত্র। 

যখন আপনি হালাল জীবনের জন্য দোয়া করতে থাকেন তখন আল্লাহ আপনার অন্তরে সেই সাকিনা দেন যাতে আপনি নতুন সম্পর্কের জন্য প্রস্তুত হতে পারেন। প্রিয় পাঠক আপনি যদি আজ অনুভব করেন যে আপনার হৃদয় শান্ত হচ্ছে দুশ্চিন্তা কমছে তাহলে বুঝে নিন এটি আল্লাহর ইশারা যে আপনার জীবনে নতুন আলো আসতে চলেছে। এই আলো একটি শুধু সম্পর্ক নয় এটি এমন একটি সম্পর্ক যা আপনার ঈমানকে শক্ত করবে,আপনার অন্তরকে শান্ত করবে আর আপনাকে আল্লাহর আরো কাছে নিয়ে যাবে।। প্রিয় পাঠক যদি এই শান্তি আপনার অন্তরে অনুভূত হয় তবে আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায় করুন কারণ এটি একটি বড় লক্ষণ।

জীবনে অপ্রত্যাশিত কিছু পরিবর্তন সহজ পথ উন্মুক্ত হাওয়া

তৃতীয় আলামতঃ জীবনে অপ্রত্যাশিত কিছু পরিবর্তন ও সহজ পথ উন্মুক্ত হাওয়া। প্রিয় ভাই ও বোনেরা কখনো কি লক্ষ্য করেছেন আপনার জীবনে হঠাৎ কিছু পরিবর্তন আসছে। এমন কিছু ঘটে যাচ্ছে যা আপনি আগেও ভাবতে পারেন নি। হয়তো আপনি নতুন কোন জায়গায় চলে যাচ্ছেন নতুন মানুষের সাথে পরিচয় হচ্ছে।  অথবা হঠাৎ কিছু পুরনো বাধা দূর হয়ে যাচ্ছে এগুলো কোন সাধারণ বিষয় নয় বরং অনেক সময় আল্লাহর পক্ষ থেকে ইসারা। যে তিনি আপনার জীবনে বিয়ের জন্য পথ খুলে দিচ্ছেন।

আল্লাহ তা'আলা বলেন নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে রয়েছে স্বস্তি এই আয়াতের গভীরে তাকান। একটি দীর্ঘ সময়ের কষ্ট অস্থিরতা ও একাকিত্বের পর হঠাৎ স্বস্তি সহজতা ও নতুন দরজা খোলা এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি সুসংবাদ। যা আপনাকে জানিয়ে দেই আপনার জীবন একটি নতুন পথে যাচ্ছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জেনে রাখো যা তোমাকে অতিক্রম করবে তা কখনো তোমাকে আঘাত করবে না এবং যা তোমাকে আঘাত করবে তা কখনো তোমাকে অতিক্রম করবে না। 

এখান থেকে আমরা শিখি জীবনে যেসব পরিবর্তন আসছে তা আল্লাহর লিখে রাখার তাকদিরের একটি অংশ। যখন তিনি চান আপনার জন্য একজন সঙ্গিনী নির্ধারণ করতে তিনি সেই পরিবেশ তৈরি করে দেন। আপনি লক্ষ্য করবেন আপনার জীবনের পুরনো কিছু সমস্যা সমাধান হঠাৎ সহজে হয়ে যাচ্ছে। আপনি নতুন লোকদের সাথে পরিচিত হচ্ছেন যাদের মাধ্যমে বিয়ের প্রসঙ্গ উঠেছে। পরিবারের মধ্যে বিয়ে নিয়ে আলোচনা শুরু হচ্ছে। এমন কিছু দরজা খুলছে যা আগে বন্ধ ছিল। এগুলোই সেই ইশারা যা

আমার-বিয়ে-কবে-কার-সাথে-হবে

বলে আল্লাহ এখন আপনার বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। একজন ভাই ছিলেন যিনি বহু বছর ধরে চাকরি খুজছিলেন। কিন্তু পাননি হঠাৎ একদিন চাকরি পেলেন তারপর পরিবারের মাধ্যমে বিয়ের আলোচনা শুরু হলো। কয়েক মাসের মধ্যে তিনি একজন নেককার বোনকে বিয়ে করলেন। তিনি পরে বলেছিলেন আল্লাহ কিভাবে আমার জীবনের পথ তৈরি করলেন হঠাৎ করে সবকিছু সহজ হতে শুরু করল। এভাবেই আল্লাহ আপনার জন্য সেই বিশেষ মানুষের পথ সহজ করে দেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, 

যে আল্লাহকে ভয় করে তিনি তার জন্য বেরিয়ে আসার পথ করে দেন এবং তাকে এমন জায়গা থেকে রিজিকের ব্যবস্থা করে দেন যে সে কল্পনা করে না। এখানে শুধু রিজিক নয় বরং বিয়ের পথ ও অন্তর্ভুক্ত। তাকওয়ার কারণে আল্লাহ এমন ভাবে দরজা খুলে দেন যা আমরা কখনো কল্পনা করতে পারি না। প্রিয় পাঠক যদি আজ আপনার জীবনে হঠাৎ কিছু পরিবর্তন আসে যে সব সমস্যার সমাধান, নতুন সম্পর্কের সম্ভাবনা বা পরিবারের মধ্যে বিয়ে নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়া।


তাহলে এটি হালকাভাবে নেবেন না। এটি হতে পারে আল্লাহর পক্ষ থেকে আপনার জন্য সুসংবাদ। যে আপনি শীঘ্রই আপনার জীবন সঙ্গীর সাথে মিলিত হতে চলেছেন। আপনি যদি অনুভব করেন যে আপনার জীবনের পথ সহজ হচ্ছে তাহলে আল্লাহকে বেশি বেশি শুকরিয়া আদায় করুন কারণ এটি তার রহমতের ইসারা যে তিনি আপনাকে নতুন জীবনের জন্য প্রস্তুত করছেন।

পরিবারের মন নরম হয়ে আসা  বিয়ের প্রসঙ্গ ওঠা

চতুর্থ আলামতঃ পরিবারের মন নরম হয়ে আসা ও বিয়ের প্রসঙ্গ ওঠা। প্রিয় ভাই ও বোনেরা জীবনে অনেক সময় এমন হয় যখন পরিবারের মন বিয়ের জন্য কঠোর থাকে। তারা বারবার বলে এখন সময় নয় আগে পড়াশোনা শেষ কর, আগে চাকরি করো পরে দেখা যাবে কিন্তু হঠাৎ একদিন সবকিছু বদলে যায়। পরিবার নিজেরাই বিয়ের কথা তুলতে শুরু করে। এই পরিবর্তন কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়
বরং এটি হতে পারে আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি বিশেষ ইশারা যে আপনার বিয়ের সময় ঘনিয়ে এসেছে।

আল্লাহ কোরআনে বলেছেন, তোমাদের মধ্যে যারা অবিবাহিত রয়েছে তাদের বিয়ে সম্পূর্ণ করে দেও। এই আয়াতে আল্লাহ পরিবার ও সমাজকে দায়িত্ব দিয়েছেন অবিবাহিতদের বিয়ে সম্পূর্ণ করতে। তাই যখন পরিবার নিজেরাই বিয়ে নিয়ে আলোচনা শুরু করে বুঝতে হবে আল্লাহ তাদের অন্তরে এই ইচ্ছা সৃষ্টি করেছেন। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন তোমাদের কাছে কোন এক ব্যক্তি আসে যার দিন ও চরিত্র তোমাদের পছন্দ হয় তখন তার বিয়ের ব্যবস্থা করে দাও। এখানে

পরিবারের অংশগ্রহণ স্পষ্টভাবে বোঝা যায় কারণ পরিবার বিয়ের জন্য সবচেয়ে বড় সহায়ক। চলুন দেখি কিভাবে  বোঝা যাবে যে পরিবারের মন নরম হয়েছে। আগে যেখানে পরিবার বিয়ের কথা শুনলে বিরক্ত হত এখন তারা নিজেরাই প্রসঙ্গ তুলছে। হঠাৎ আত্মীয়-স্বজন থেকে প্রস্তাব আসতে শুরু করেছে। মা বাবা আপনার বিয়ের কথা বলে আশ্বাস দিচ্ছেন। পরিবারের ভিতরে বিয়ের জন্য প্রস্তুতির ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে এসবই আল্লাহর পক্ষ থেকে এক ধরনের ইশারা।

বারবার বিয়ের সম্পর্কিত বিষয় চোখে পড়া কানে শোনা

পঞ্চম আলামতঃ বারবার বিয়ের সম্পর্কিত বিষয় চোখে পড়া কানে শোনা এবং অন্তরে নাড়া দেওয়া। প্রিয় পাঠক পাঠিকা কখনো কি খেয়াল করেছেন জীবনের কোন এক পর্যায়ে এসে আপনার চারপাশে বিয়ের সম্পর্কিত বিষয়গুলো আপনার সামনে বার বার আসে। যেমন আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুদের বিয়ে হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিয়ের পোস্ট বারবার চোখে পড়ে যায়, আপনার কানে বিয়ের কথা বা কোরআন হাদিসের বিয়ের সম্পর্কে আলোচনা বেশি শুনতে পাচ্ছেন। কিংবা নামাজে বসে বসে হঠাৎই

আপনার মনে বিয়ের জন্য গভীর আকাঙ্ক্ষা জাগছে। এগুলো সবই হতে পারে আল্লাহর পক্ষ থেকে ইশারা। যে আপনি শীঘ্রই জীবনের নতুন অধ্যায় প্রবেশ করতে চলেছেন। আল্লাহ তা'আলা কুরআনে বলেন, চোখ অন্ধ হয় না কিন্তু অন্তরের দৃষ্টি অন্ধ হয়ে যায় এখানে অন্তরের দৃষ্টি বলতে বোঝানো হয়েছে যে আল্লাহ যখন চান তখন তখন তিনি বান্দার অন্তরকে জাগ্রত করেন। এই জাগরণী বিয়ের সম্পর্কিত অনুভূতি প্রবল করে তোলে।

আল্লাহর প্রতি তাওয়াকুল  অন্তরের ভয় দূর হয়ে যাওয়া

শেষ আলামতঃ  আল্লাহর প্রতি তাওয়াকুল ও অন্তরের ভয় দূর হয়ে যাওয়া। প্রিয় পাঠক পাঠিকা জীবনের কঠিন মুহূর্ত গুলোর মধ্যে একটি হলো বিয়ে নিয়ে অস্থিরতা। অনেকেই চিন্তিত থাকেন কখন আমার বিয়ে হবে? কাকে বিয়ে করবো? আদো কি আমার জন্য কেউ আছে? এই দুশ্চিন্তা কখনো কখনো হৃদয়কে ভারী করে দেয়।। কিন্তু যখন আপনার অন্তর হঠাৎ এক ধরনের প্রশান্তিতে নেমে আসে যখন

বিয়ে নিয়ে ভয় এবং দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যায় এবং আপনি সম্পূর্ণভাবে আল্লাহর উপর ভরসা করতে শুরু করেন তখন বুঝবেন এটি একটি বড় আলামত। যে আল্লাহর আপনার জন্য শীঘ্রই পথ খুলে দিতে চলেছেন। আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেছেন, যে আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্য আল্লাহ যথেষ্ট এই আয়াত আমাদের শেখায় যে আপনি সবকিছু দুশ্চিন্তা ছেড়ে আল্লাহ ওপর ভরসা করেন। তখন তিনি আপনার জীবনের জন্য সবকিছু সহজ করে দেন তার মধ্যে বিয়ে অন্তর্ভুক্ত।

 আজ আমরা আলোচনা করলাম ছয়টি আলামত যা দেখলে বুঝবেন আপনার বিয়ের সময় ঘনিয়ে এসেছে। প্রিয় পাঠক পাঠিকা জীবনে আমরা অনেক সময় অধৈর্য হয়ে যাই। ভাবি কেন এখনো বিয়ে হচ্ছে না কিন্তু কোরআনে আল্লাহ স্পষ্ট ভাবে বলেছেন, হতে পারে তোমরা কোন কিছুকে অপছন্দ করছ অথচ সেটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর হবে। হয়তো আজ দেরি হচ্ছে কারণ আল্লাহ আপনার জন্য

সেরা মানুষটিকে প্রস্তুত করছেন। আজকের আলোচনার পর আমি আপনাদেরকে বলছি যদি আপনার জীবনে এই আলামত গুলো দেখা যায় তাহলে চিন্তা ছেড়ে দিন। আপনার অন্তরকে প্রশান্ত করুন কারণ আল্লাহ কখনো তার বান্দাকে একা ছেড়ে দেন না। হয়তো আপনি ভাবছেন আমি কি দেরি করে ফেলেছি না মনের রাখবেন আল্লাহর পরিকল্পনা দেরী বলে কিছু নেই তার সময় সব সময় উত্তম।

৪০ দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল

ছেলে মেয়েদের বিয়ের বয়স পার হয়ে যাওয়ার পরও বিয়ে হচ্ছে না। মেয়ে পক্ষেও বা ছেলে পক্ষ এসে ফিরে যাচ্ছে। তারা প্রত্যেকে ফজর নামাজের পর সূর্যোদয়ের আগে ৪০ দিন করে ৪০ বার  ছেলেরা ডান হাত দিয়ে বাম হাতের কব্জি চেপে ধরে এবং মেয়েরা বাম হাত দিয়ে ডান হাতের কব্জি চেপে ধরে "ইয়া ফাত্তাহ" পাঠ করবে।।

"ইয়া ফাত্তাহু" আল্লাহর পবিত্র একটি নাম যার অর্থ উন্মুক্তকারী বা প্রস্তুতকারী। বিবাহ ছাড়াও ইয়া ফাতাহু ফজরের নামাজের পর দুই হাত বুকের উপর রেখে ৭১ বার পাঠ করলে ইনশাল্লাহ অভাব দূর হবে মনোবল বৃদ্ধি হবে ও সকল কাজ সহজ হবে।

সাত দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল

জন্ম-মৃত্যুর বিয়ের সবই মহান আল্লাহ তায়ালার হাতে। মহান আল্লাহ তায়ালা যখন চাইবে তার তখন বিয়ে হবে। অনেক ছেলে-মেয়ে আছে যাদের খুব দ্রুত বিয়ের বয়স হলে সাথে সাথেই বিয়ে হয়ে যায়। আবার অনেকেই আছে যাদের বিয়ের বয়স পার হয়ে যাওয়ার পরেও বিয়ে হচ্ছে না। যাদের বিয়ের বয়স পার হয়ে যাওয়ার পরও বিয়ে হচ্ছে না তাদের জন্য রয়েছে দ্রুত বা সাতদিনে বিয়ে হওয়ার আমল। এই সাতটি আমলের মধ্যে যেকোনো একটি করলে ইনশাআল্লাহ খুব দ্রুত বিয়ের ব্যবস্থা হয়ে যাবে। আমলগুলো হল -

বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠ করা। যে ব্যক্তি সবসময় তার জবানে বেশি বেশি ইস্তেগফার জারি রাখে সে মস্তাজেবুদ হয়ে যায়। যার দোয়া মহান আল্লাহ পাক কখনো ফেরত দেন না।

ইস্তেগফারের সঠিক উচ্চারণ হলোঃ আস্তাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল কাইয়ুম ওয়া আতুবু ইলাইহি

সূরা আদ দোহা ও সুরা কাসাসের ২৪ নং আয়াত পাঠ করা -

যদি কোন ছেলে ২৪ নং আয়াতটি ১০০ বার পাঠ করে তাহলে মহান আল্লাহ তায়ালা দ্রুত তার বিয়ের ব্যবস্থা করে দিবেন আয়াতটি হলো

উচ্চারণঃ ফাসাক্কা লাহুমা ছুম্মা তাওয়াল্লা ইলাজজিল্লি ফাক্কালা রাব্বি ইন্নি লিমা আংযালতা ইলাইয়্যা মিন খায়রিং ফাক্কির

হযরত মুসা (আঃ) যখন একাকীত্ব অনুভব করতেন তখন এই দোয়াটি বেশি বেশি পাঠ করতেন।

যদি মেয়েরা আদ দোহা নিয়মিত ১১ বার তেলাওয়াত করে তাহলে আল্লাহ তা'আলা তাকে উত্তম পাত্রের ব্যবস্থা করে দিবেন

সূরা ইয়াসিন পাঠ করা

যাদের বিয়ের প্রস্তাব আসে কিন্তু বিয়ে হয় না তাদের জন্য সুরা ইয়াসিন পাঠ করা একটি কার্যকরী আমল। সুরা ইয়াসিন এর মুবিন আছে সাতটি। রোজ সকালে সূর্য যখন পূর্ব দিকে লাল হয়ে উঠবে তখন পশ্চিম দিকে মুখ করে সুরা ইয়াসিন পাঠ করতে হবে আর মুবিন সব তো তেলাওয়াত করতে হবে তখন শাহাদাত আঙ্গুল সূর্যের দিকে ইশারা করতে হবে

সূরা তাওবার ১২৯ নং আয়াতটি পাঠ করা

যাদের বিয়ে হয় না, তারা প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর (ছেলে মেয়ে উভয়) সূরা তাওবার ১২৯ নং আয়াতটি পাঠ করবে। ১৯ বার বিসমিল্লাহ, ১১০০ বার তাওবার ১২৯ নং আয়াত, ১০০ বার দুরুদ শরীফ, ও শেষে ১৯ বার বিসমিল্লাহ পাঠ করবে। আয়াতটি হলো -


উচ্চারণঃ ফাইং তাওয়াল্লাও ফাকুল হাসবিয়াল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহুয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আজিম

সূরা মুজাম্মিল পাঠ করা -

যদি কোন ছেলে বা মেয়ের বিয়ের বয়স পার হয়ে যাওয়ার পরও বিয়ের প্রস্তাব না আসে। তবে সেই ছেলের বা মেয়ের বাবা অথবা মা শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে ২১ বার সূরা মুজাম্মিল পাঠ করতে হবে

আমার-বিয়ে-কবে-কার-সাথে-হবে

তাসবিহে ফাতেমী পাঠ করা -

প্রত্যেক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর তাসবীহ ফাতেমি পাঠ করা। তাসবিহে ফাতেমি হল

সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার পড়া

আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার পড়া

আল্লাহু আকবার ৩৪ বার পড়া

তাসবিহ ফাতেমী পাঠ করার আগে কোরআন তেলাওয়াত ও দূরুদ পাঠ করে নেওয়া উচিত

সূরা মরিয়ম পাঠ করা -

যদি কোন ছেলে বা মেয়ের বিয়ে না হয় তাহলে যেকোনো এক ওয়াক্ত নামাজের পর সূরা মরিয়ম পাঠ করতে হবে। এই আমলটি পাত্র পাত্রী বা তাদের বাবা-মা ও করতে পারবে।

তিন দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল

যেসব ছেলে মেয়েদের বিয়ে হচ্ছে না। তাদের ছোট ভাই বোনদের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে কিন্তু আপনার বিয়ের বয়স পার হয়ে যাওয়ার পরও বিয়ে হচ্ছে না। তাদের জন্য একটি পরীক্ষিত আমল। যা করলে এবং আল্লাহ তায়ালা চাইলে তিনদিনের মধ্যে বিয়ে হয়ে যাবে। ফরজ নামাজের পর এই আমলটি করতে হবে।

ফজরের নামাজের পর দুরুদে ইব্রাহিম বা অন্য যে দুরুদ শরীফ আপনি জানেন সেই দুরুদ শরীফ ৩ বার ৭ বার অথবা ১১ বার পাঠ করতে হবে। তারপর সূরা ইয়াসিন ৪১ বার এবং শেষে আবারো ৩,৭ বা ১১ বার দরুদ শরীফ পাঠ করতে হবে। কিন্তু আপনি একদিনে যদি ৪১ বার সূরা ইয়াসিন পাঠ করতে না পারেন, তাহলে আপনি তিন দিনে ভাগ করে এই আমলটি করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে ১৫ বার, দ্বিতীয়দিনে ১৫ বার ও তৃতীয় দিনে ১১ বার সূরা ইয়াসিন
পাঠ করতে হবে এবং সূরা ইয়াসিন পড়ার আগে অবশ্যই দরুদ পাঠ কত করতে হবে।

ছেলেদের ও মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল

ছেলেদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল ও মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল উভয়েরই বিয়ে করার আমল একই। আলাদা করে কোন আমল নেই। ছেলেদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল এবং মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল যেহেতু একই তাই উভয়েরই ৩ দিনের,৭ দিনের অথবা ৪০ দিনের মধ্য থেকে যে কোন একটি আমল করতে পারেন। ছেলেমেয়েদের অতী দ্রুত বিয়ের আমলগুলো উপরের সুন্দরভাবে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

শেষ কথাঃ আমার বিয়ে কবে কার সাথে হবে

প্রিয় পাঠক এবং পাঠিকা আজ আমরা আমার বিয়ে কবে কার সাথে হবে তা নিয়ে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আমাদের এই পোস্টটি আমার বিয়ে কবে কার সাথে হবে, ৪০ দিনের বিয়ে হওয়ার আমল, ছেলেদের বিয়ে হওয়া আমুল, সাতদিনে বিয়ে হওয়ার আমল, তিন দিনে বিয়ে হওয়ার আমল, বিয়ে না হলে কি করা উচিত, মেয়েদের বিয়ে হওয়ার আমল সম্পর্কে আলোচনা করেছি।

আমি মনে করি আপনি যদি আমাদের এই পোস্টটি সম্পন্ন মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন। তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার বিয়ে কবে হবে। আমাদের এই পোষ্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুবান্ধবদের কাছে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আমাদের পোস্টটি পড়ার জন্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টেকনি টিউব ইনফো'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

কনটেন্ট রাইটার সম্পর্কে

Md. Abir Hossain
Foysal
আমি ফয়সাল, Techne Tube Info.com এর প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান কনটেন্ট রাইটার। তথ্য ও প্রযুক্তি, শিক্ষা, চিকিৎসা, লাইফ স্টাইল, অনলাইন ইনকাম নিয়ে লেখালেখিতে আগ্রহী। বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য তথ্যভিত্তিক, সহজবোধ্য ও SEO- সমৃদ্ধ কনটেন্ট তৈরি করাই আমার প্রধান লক্ষ্য। আমি বিশ্বাস করি - জ্ঞানীই ক্ষমতা, তাই নিয়মিত শেখা ও তা ভাগ করে নেওয়ার চেষ্টা করি।