আমার বিয়ে কবে কার সাথে হবে
আমরা অনেকেই আছি যাদের সময় মত বিয়ে হচ্ছে না তারা বিভিন্ন সময় ইন্টারনেটে আমার বিয়ে কবে হবে লিখে সার্চ করে আজ আমরা বিয়ে না হলে কি করা উচিত বা আমার বিয়ে হচ্ছে না কেন তা নিয়ে সম্পূর্ণ একটি বিস্তারিত আলোচনা করব। তো চলুন আর দেরি না করে আমার বিয়ে কবে হবে
আমার বিয়ে কার সাথে হবে, বিয়ে হচ্ছে না কেন, বিয়ে না হলে কি কি করা উচিত, ৪০ দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল, ছেলেদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল, ৭ দিনে বিয়ে হওয়ার আমল, তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল, তিন দিনের ভিতরে বিয়ে হওয়ার আমল, এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব প্রথমেই আমরা জেনে নেই আমাদের সময় মত কেন বিয়ে হচ্ছে না সেই সম্পর্কে
পেজ সূচিপত্রঃ আমার বিয়ে কবে কার সাথে হবে
- আমার বিয়ে কবে কার সাথে হবে
- ছয়টি আলামত আপনার মধ্যে থাকলে তাড়াতাড়ি বিয়ে হবে
- আপনার জীবনে হঠাৎ স্থিরতা ও শান্তি নেমে আসে
- আপনার অন্তরে বিয়ের প্রতি শক্ত এবং পবিত্র আকাঙ্ক্ষা
- জীবনে অপ্রত্যাশিত কিছু পরিবর্তন সহজ পথ উন্মুক্ত হাওয়া
- পরিবারের মন নরম হয়ে আসা বিয়ের প্রসঙ্গ ওঠা
- বারবার বিয়ের সম্পর্কিত বিষয় চোখে পড়া কানে শোনা
- আল্লাহর প্রতি তাওয়াকুল অন্তরের ভয় দূর হয়ে যাওয়া
- ৪০ দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল
- সাত দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল
- তিন দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল
- ছেলেদের ও মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল
- শেষ কথাঃ আমার বিয়ে কবে কার সাথে হবে
আমার বিয়ে কবে কার সাথে হবে
আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যা খাস ভাবে সেই মানুষদের জন্য যার বিয়ে হতে দেরি হচ্ছে। আর তাদের জন্য যারা চিন্তায় মগ্ন রয়েছেন দেরি করে বিয়ে হওয়া কি ব্যর্থতা। আপনার বিয়ের ব্যাপারে মানুষ কথা শোনায় আর আপনি এই মানুষদের কথায় কষ্ট পান। আপনি কি কখনো রাতে লুকিয়ে অশ্রু ফেলেছেন যদি আপনি হ্যাঁ বলেন তো থেমে যান। কেননা আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার মনের সেই আশার আলো নিয়ে আসবে। তো চলুন সেই নিশানি ব্যাপারে জেনে নেই।
মানুষের কথা আর সমাজ কি বলে। সমস্ত জায়গায় সকল মজলিসে প্রশ্ন এটাই হয় এখনো বিয়ে করোনি কেন? এই কথাটি সুরের মত মনকে কেটে দেয় কিন্তু মনে রাখবেন মানুষের কথা শুধু একটি পরীক্ষা। আসল ফয়সালা শুধু আল্লাহরই হয় মানুষের কথা আপনার ওজন কমায় না। কেননা আল্লাহর ওয়াদা সর্বদা আমাদের সাথে থাকে এই সময়তে আর দেরিতে বিয়ে হওয়া ইসলামের একটি সুন্দর পরীক্ষা।
আরিয়ার কাহিনী শবর আর দোয়ার শক্তি, আরিয়ার চোখেও এই প্রশ্ন ছিল। একদিন বিয়ে বাড়ির চমকাতে থাকা আলোতে সবাই হাসছিল কিন্তু সে একা আর খুবই দুঃখী ছিল। মানুষ বলছিল এখন তো বয়স পেরিয়ে গেছে আর তার মন বলছে আমার সব সময় শেষ হয়ে গেছে। সময় শেষ হয়ে গেছে কিন্তু আরিয়া মনকে মজবুত করল আর দোয়া করলো। রবের প্রতি দোয়া আর তাকওয়া, রাত রাতগভীর হলো আর সবাই ঘুমিয়ে গেছিল।
আরিয়া চোখ খুলল চোখে অশ্রু ছিল মন ভাঙ্গা ছিল সে দোয়া করলো, হে আল্লাহ আমার মন ভেঙ্গে গেছে আমার জন্য সেই সম্পর্ক সেই রাস্তা বানাও যা আমাকে তোমার দিকে নিয়ে যাবে। এই দোয়া আর তার সবর আরিয়ার এক মিসারি ছিল তসবির জারিআয় সে ইসলামিক মোটিভেশন হাসিল করল। সেখানে শবর আর আসা একসাথে ছিল দেরি করে বিয়ে ব্যর্থতা নয় আল্লাহর কাছে সুরক্ষিত রয়েছে।
এখন যে রাজ আমি আপনাকে বলতে চলেছি সেটা সর্বদা মানুষ না দেখা করে। দেরি করে বিয়ে না তো ব্যর্থতা বরং আল্লাহ নেওয়া পরীক্ষা। আল্লাহ কখনো দেরি করেন না তিনি আপনার নসিবের জন্য উত্তম পরিকল্পনা তৈরি করেন। এ সময় আপনার জীবনে এক খাস উদ্দেশ্য নিয়ে আসে যাতে আপনার সম্পর্ক পুরা আর পারফেক্ট হয়। যা আপনার জন্য বরকতময় আর শান্তির জারিয়া হয়ে যায়।
কুরআনের ওয়াদা, সবর আর আর আবেগের সাহারা নেই। আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেছেন আর যে সবর করে তার জন্য বেহিসাব সফলতা রয়েছে। সূরাতুল জুমুয়াল আয়াত নাম্বার ১০ অর্থাৎ আপনার করা শবর দেরি করে বিয়ের অপেক্ষায় যায়া হয় না। দুনিয়ার জীবন তো আবেদন আসল পুরস্কার যার কাছে রয়েছে তিনি আল্লাহ যে আশা একিমকারীদের সেটাই দেন।
দেরি করে বিয়েতে হিকমত কি আছে চিন্তার তকদীর আর দেরি করে হিকমত আরিয়া বুঝে
গেল দেরি তার কমজোরি নয় বরং তার হিকমত সে দুনিয়ার কথা শোনা ছেড়ে দিল। আর
মনকে রবের ওয়াদায় বেঁধে দিল আল্লাহ তাকে সেই সম্পর্ক দিল যে যার জীবনে
শান্তি আর রহমতের জারিয়া হল। এটাই তো সেই সময় ছিল। যখন সে জানল যে সমস্ত
জিনিস সময় মতই পাওয়া যায়। আর আল্লাহর উদ্দেশ্যে সর্বদা সবসময় উত্তম হয়।
এই নিশানি আপনার জন্য বার্তা সমাজের কথার জবাব। প্রিয় বোনেরা যদিও আপনারাও অপেক্ষায় রয়েছেন তো চিন্তা করবেন না মানুষের কথা কি মনে লাগাবেন না। কেননা আল্লাহ জানেন আপনার জন্য উত্তম সময়, উত্তম সম্পর্ক কোনটি। মনে রাখবেন যে জিনিস আল্লাহ আপনার জন্য রেখেছেন সেটা কখনো আপনার থেকে দূরে হয় না। আপনার নসিবে সেটাই হবে যেটা আল্লাহ চাইবে। সবর আর তাওয়াক্কুলের জারিয়ায় দোয়ার আমল নিয়ে আসে রাতে মন থেকে এই দোয়াই করুন।
আমার সমস্যার সমাধান বের করে দিন আর আমাকে সেইটা দান করুন যা আমার কল্পনার থেকেও উত্তম হবে। নামাজে আর তাহাজ্জুদে নিজের দেওয়াকে জারি রাখুন দোয়া আর আমলের সাথে। সবর আপনার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার যেটা জীবনে সফলতা নিয়ে আসে। তো প্রিয় ভাই ও বোনেরা দেরিতে বিয়ে কোন ব্যর্থতা নয় এটা আল্লাহর হিকমত হয়। আপনার পরীক্ষা দ্বারাই আপনার সুন্দর জীবন তৈরি হয় তাই ধৈর্য হারাবেন না আল্লাহ তাআলার উপর ভরসা ও বিশ্বাস রাখুন। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা উত্তম সময় আপনাকে উত্তম জরি দান করবেন।
ছয়টি আলামত আপনার মধ্যে থাকলে তাড়াতাড়ি বিয়ে হবে
আপনার অন্তরে বিয়ের প্রতি শক্ত এবং পবিত্র আকাঙ্ক্ষা
প্রথম আলামতঃ আপনার অন্তরে বিয়ের প্রতি শক্ত এবং পবিত্র আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি হওয়া। প্রিয় ভাই ও বোনেরা বিয়ের আগে আল্লাহ তায়ালা বান্দার অন্তরে একটি বিশেষ আকাঙ্ক্ষা জাগিয়ে দেন। এটি শুধু শারীরিক বা মানসিক চাহিদা নয় বরং এটি একটি পবিত্র আকাঙ্ক্ষা যা আপনাকে হালাল সম্পর্কে দিকে টেনে নেই। আপনি অনুভব করতে থাকেন যে আমার জীবনে এখন একজন হালাল সঙ্গীর প্রয়োজন। এটিই সেই সময় যখন আপনার মন থেকে গুনাহের পথে যাওয়ার ইচ্ছা ধীরে ধীরে কমে যায় এবং আপনার হৃদয় হালাল সম্পর্কে প্রতি আকৃষ্ট হয়।
আল্লাহ তাআলা বলেন তার নির্দেশন সময়ের মধ্যে এটি অন্যতম যে তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকেই জোড়া সৃষ্টি করেছেন। যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও এবং তিনি তো আমাদের মাঝে ভালোবাসা দয়া সৃষ্টি করে দিয়েছেন। এখানে শান্তি পাওয়া কথাটি লক্ষ্য করুন যখন আপনার অন্তর বিয়ের জন্য প্রস্তুত হয় তখন আপনি গভীরভাবে অনুভব করেন যে আপনার জীবনের শান্তি আনার জন্য একজন হালাল সঙ্গীর প্রয়োজন। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন হে যুব
সমাজ তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে তারা যেন বিয়ে করে কারণ এটি তোমার চোখকে নত করে এবং তোমার লজ্জাস্থানকে হেফাজত করে। এখান থেকে বোঝা যায় বিয়ের আকাঙ্ক্ষা শুধু প্রয়োজনীয় নয় এটা ঈমান রক্ষার উপায়ও বটে। ভাই ও বোনেরা লক্ষ্য করুন আগে হয়তো আপনি বিয়ে নিয়ে তেমন ভাববেন না কিন্তু হঠাৎ আপনার বিয়ের প্রতি আগ্রহ হচ্ছে, অশ্লীল থেকে দূরে থাকতে ইচ্ছা জাগছে, নামাজে বসে বসে আপনি একজন হালাল সঙ্গীর জন্য কান্না করছেন। এটি আল্লাহর পক্ষ
থেকে একটি ইশারা হতে পারে যে শীঘ্রই আপনার জন্য একজনকে নির্ধারণ করতে চলেছেন। এই সময় আপনি লক্ষ্য করবেন যে আপনার দোয়ার ধরন বদলে গেছে। আপনি আর সাধারণভাবে দোয়া করছেন না বরং প্রতিটি সিজদায় আল্লাহর কাছে বলছেন, হে আল্লাহ আমার জন্য একজন নেককার সঙ্গিনী নির্বাচন করে দিন এটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শিখানো সুন্নাহ। যখন আপনার অন্তর পবিত্র আকাঙ্খায় ভরে যায় তখন আপনি হারাম পথ থেকে দূরে সরে আসতে শুরু করেন। কারণ
আপনি জানেন শুধু বিয়েই আপনার ঈমানকে রক্ষা করবে। এটি আল্লাহর বিশেষ রহমতে লক্ষণ যদি আজ আপনার অন্তরে এই পবিত্র আকাঙ্ক্ষা জন্ম নেই তবে বুঝে নিন আল্লাহ তা'আলা আপনার দোয়া শুনছেন। তিনি আপনার হৃদয়কে প্রস্তুত করছেন যাতে আপনি নির্ধারিত সঙ্গীর জন্য প্রস্তুত হন। এটি একটি শুধুমাত্র সাধারণ অনুভূতি নয় এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি ইশারা যে আপনি শীঘ্রই সে সম্পর্কের দিকে পা রাখতে চলেছেন যা আপনার ঈমানের অর্ধেক পূর্ণ করবে।
আপনার জীবনে হঠাৎ স্থিরতা ও শান্তি নেমে আসে
দ্বিতীয় আলামতঃ আপনার জীবনে হঠাৎ স্থিরতা ও শান্তি নেমে আসে। প্রিয় পাঠক কখনো কি লক্ষ্য করেছেন। আপনার জীবনে একসময় যা ছিল যখন অস্থিরতা ভয় দুশ্চিন্তা আর একাকীত্ব আপনাকে গ্রাস করেছিল। কিন্তু হঠাৎ একদিন মনে হল যেন আপনার হৃদয় অদ্ভুতভাবে শান্ত হয়ে গেছে এই শান্তি কোথা থেকে আসে জানেন এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি ইশারা হতে পারে। যে আপনার জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হতে চলেছে আল্লাহ তাআলা বলেন, তিনি সেই সত্তা যিনি মুমিনদের অন্তরে প্রশান্তি নাযিল করেছেন।
যখন আল্লাহ চান আপনার জীবনে নতুন কিছু আনতে তখন তিনি প্রথমেই সাকিনা নামক এই প্রশান্তি নাযিল করেন। এটি এমন এক অবস্থা যখন বাহিক্য কলাহল থাকলেও আপনার মন শান্ত থাকে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক হাদিসে বলেছেন, যখন আল্লাহ কোন বান্দার জন্য কল্যাণ চান তখন তিনি তার অন্তরে প্রশান্তির নাযিল করেন। অর্থাৎ আপনি যদি হঠাৎ এমন অনুভব করেন যে আপনার মন স্থির হচ্ছে, দুশ্চিন্তা কমছে তবে এটি হতে পারে আল্লাহর পক্ষ থেকে সেই নতুন জীবনের পূর্বাভাস।
আপনি লক্ষ্য করবেন আগে যে বিষয়গুলো নিয়ে আপনি অস্থির ছিলেন সেগুলো ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে যাচ্ছে। আপনি ভবিষ্যৎ নিয়ে ভুগতেন আর এখন ততটা ভয় পাচ্ছেন না। আপনার অন্তরে এক অজানা আশা জন্ম নিচ্ছে হঠাৎ মনে হচ্ছে জীবনের সবকিছু যেন ঠিকঠাক হয়ে যাবে। এগুলো আল্লাহর পক্ষ থেকে সাকিনা অর্থাৎ শান্তি এবং এটি এমন এক সময় নেমে আসে যখন বিয়ের দরজা খুলতে চলেছে।
ধরুন একজন বোন ছিলেন যিনি সব সময় দুশ্চিন্তায় ভুগতেন আমার কি বিয়ে হবে? আমি কি কখনো একজন নেককার স্বামী পাবো? তিনি নিয়মিত নামাজ পড়তেন কান্না করে দোয়া করতেন। একদিন তিনি হঠাৎ লক্ষ্য করলেন আর সেই অস্থিরতা নেই হৃদয় শান্ত। এক মাসের মধ্যেই আল্লাহ তার জন্য এমন একজন সঙ্গী পাঠালেন যিনি তার দোয়ার প্রতিফলন হয়ে এলেন। আপনি যত বেশি দোয়া করবেন আপনার অন্তরে তত বেশি প্রশান্তি নেমে আসবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন দোয়াই হলো মুমিনের অস্ত্র।
যখন আপনি হালাল জীবনের জন্য দোয়া করতে থাকেন তখন আল্লাহ আপনার অন্তরে সেই সাকিনা দেন যাতে আপনি নতুন সম্পর্কের জন্য প্রস্তুত হতে পারেন। প্রিয় পাঠক আপনি যদি আজ অনুভব করেন যে আপনার হৃদয় শান্ত হচ্ছে দুশ্চিন্তা কমছে তাহলে বুঝে নিন এটি আল্লাহর ইশারা যে আপনার জীবনে নতুন আলো আসতে চলেছে। এই আলো একটি শুধু সম্পর্ক নয় এটি এমন একটি সম্পর্ক যা আপনার ঈমানকে শক্ত করবে,আপনার অন্তরকে শান্ত করবে আর আপনাকে আল্লাহর আরো কাছে নিয়ে যাবে।। প্রিয় পাঠক যদি এই শান্তি আপনার অন্তরে অনুভূত হয় তবে আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায় করুন কারণ এটি একটি বড় লক্ষণ।
জীবনে অপ্রত্যাশিত কিছু পরিবর্তন সহজ পথ উন্মুক্ত হাওয়া
পরিবারের মন নরম হয়ে আসা বিয়ের প্রসঙ্গ ওঠা
বারবার বিয়ের সম্পর্কিত বিষয় চোখে পড়া কানে শোনা
আল্লাহর প্রতি তাওয়াকুল অন্তরের ভয় দূর হয়ে যাওয়া
৪০ দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল
ছেলে মেয়েদের বিয়ের বয়স পার হয়ে যাওয়ার পরও বিয়ে হচ্ছে না। মেয়ে পক্ষেও বা ছেলে পক্ষ এসে ফিরে যাচ্ছে। তারা প্রত্যেকে ফজর নামাজের পর সূর্যোদয়ের আগে ৪০ দিন করে ৪০ বার ছেলেরা ডান হাত দিয়ে বাম হাতের কব্জি চেপে ধরে এবং মেয়েরা বাম হাত দিয়ে ডান হাতের কব্জি চেপে ধরে "ইয়া ফাত্তাহ" পাঠ করবে।।
"ইয়া ফাত্তাহু" আল্লাহর পবিত্র একটি নাম যার অর্থ উন্মুক্তকারী বা প্রস্তুতকারী। বিবাহ ছাড়াও ইয়া ফাতাহু ফজরের নামাজের পর দুই হাত বুকের উপর রেখে ৭১ বার পাঠ করলে ইনশাল্লাহ অভাব দূর হবে মনোবল বৃদ্ধি হবে ও সকল কাজ সহজ হবে।
সাত দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল
জন্ম-মৃত্যুর বিয়ের সবই মহান আল্লাহ তায়ালার হাতে। মহান আল্লাহ তায়ালা যখন চাইবে তার তখন বিয়ে হবে। অনেক ছেলে-মেয়ে আছে যাদের খুব দ্রুত বিয়ের বয়স হলে সাথে সাথেই বিয়ে হয়ে যায়। আবার অনেকেই আছে যাদের বিয়ের বয়স পার হয়ে যাওয়ার পরেও বিয়ে হচ্ছে না। যাদের বিয়ের বয়স পার হয়ে যাওয়ার পরও বিয়ে হচ্ছে না তাদের জন্য রয়েছে দ্রুত বা সাতদিনে বিয়ে হওয়ার আমল। এই সাতটি আমলের মধ্যে যেকোনো একটি করলে ইনশাআল্লাহ খুব দ্রুত বিয়ের ব্যবস্থা হয়ে যাবে। আমলগুলো হল -
বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠ করা। যে ব্যক্তি সবসময় তার জবানে বেশি বেশি ইস্তেগফার জারি রাখে সে মস্তাজেবুদ হয়ে যায়। যার দোয়া মহান আল্লাহ পাক কখনো ফেরত দেন না।
ইস্তেগফারের সঠিক উচ্চারণ হলোঃ আস্তাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল কাইয়ুম ওয়া আতুবু ইলাইহি
সূরা আদ দোহা ও সুরা কাসাসের ২৪ নং আয়াত পাঠ করা -
যদি কোন ছেলে ২৪ নং আয়াতটি ১০০ বার পাঠ করে তাহলে মহান আল্লাহ তায়ালা দ্রুত তার বিয়ের ব্যবস্থা করে দিবেন আয়াতটি হলো
উচ্চারণঃ ফাসাক্কা লাহুমা ছুম্মা তাওয়াল্লা ইলাজজিল্লি ফাক্কালা রাব্বি ইন্নি লিমা আংযালতা ইলাইয়্যা মিন খায়রিং ফাক্কির
হযরত মুসা (আঃ) যখন একাকীত্ব অনুভব করতেন তখন এই দোয়াটি বেশি বেশি পাঠ
করতেন।
যদি মেয়েরা আদ দোহা নিয়মিত ১১ বার তেলাওয়াত করে তাহলে আল্লাহ তা'আলা তাকে উত্তম পাত্রের ব্যবস্থা করে দিবেন
সূরা ইয়াসিন পাঠ করা
যাদের বিয়ের প্রস্তাব আসে কিন্তু বিয়ে হয় না তাদের জন্য সুরা ইয়াসিন পাঠ করা একটি কার্যকরী আমল। সুরা ইয়াসিন এর মুবিন আছে সাতটি। রোজ সকালে সূর্য যখন পূর্ব দিকে লাল হয়ে উঠবে তখন পশ্চিম দিকে মুখ করে সুরা ইয়াসিন পাঠ করতে হবে আর মুবিন সব তো তেলাওয়াত করতে হবে তখন শাহাদাত আঙ্গুল সূর্যের দিকে ইশারা করতে হবে
সূরা তাওবার ১২৯ নং আয়াতটি পাঠ করা
যাদের বিয়ে হয় না, তারা প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর (ছেলে মেয়ে উভয়) সূরা তাওবার ১২৯ নং আয়াতটি পাঠ করবে। ১৯ বার বিসমিল্লাহ, ১১০০ বার তাওবার ১২৯ নং আয়াত, ১০০ বার দুরুদ শরীফ, ও শেষে ১৯ বার বিসমিল্লাহ পাঠ করবে। আয়াতটি হলো -
সূরা মুজাম্মিল পাঠ করা -
যদি কোন ছেলে বা মেয়ের বিয়ের বয়স পার হয়ে যাওয়ার পরও বিয়ের প্রস্তাব না আসে। তবে সেই ছেলের বা মেয়ের বাবা অথবা মা শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে ২১ বার সূরা মুজাম্মিল পাঠ করতে হবে
তাসবিহে ফাতেমী পাঠ করা -
প্রত্যেক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর তাসবীহ ফাতেমি পাঠ করা। তাসবিহে ফাতেমি হল
সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার পড়া
আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার পড়া
আল্লাহু আকবার ৩৪ বার পড়া
তাসবিহ ফাতেমী পাঠ করার আগে কোরআন তেলাওয়াত ও দূরুদ পাঠ করে নেওয়া উচিত
সূরা মরিয়ম পাঠ করা -
যদি কোন ছেলে বা মেয়ের বিয়ে না হয় তাহলে যেকোনো এক ওয়াক্ত নামাজের পর সূরা মরিয়ম পাঠ করতে হবে। এই আমলটি পাত্র পাত্রী বা তাদের বাবা-মা ও করতে পারবে।



টেকনি টিউব ইনফো'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url