বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম
আমরা কোন সমস্যায় পড়লে ইন্টারনেটে কিছুর সমাধান পেতে লিখে সার্চ করি এবং বিভিন্ন আর্টিকেল পড়ে উপকৃত হয়। এই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল গুলো লিখে আমরা মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারি। এজন্য নির্দিষ্ট একটি ফরমেটে আর্টিকেল লেখা গুরুত্বপূর্ণ আর তাই আমরা আজকে আপনাদের শিখবো একটি সুন্দর আর্টিকেল লেখার বেশ কিছু টেকনিক। আপনার আর্টিকেলে কোন কোন বিষয়গুলো উল্লেখ করতে পারেন। কোন কোন বিষয়গুলো আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আর্টিকেল লেখার জন্য এবং আর্টিকেলের বিভিন্ন ফরমেটিং বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম
ব্লগিং ওয়েবসাইটে বাংলা ভাষায় পোস্ট লিখে পাবলিশ করা হয় তাকে বাংলা আর্টিকেল বলা হয়। বাংলা আর্টিকেল লিখার জন্য আমাদেরকে বেশ কিছু নিয়ম অবলম্বন করতে হবে। সেই নিয়মগুলো নিচে আলোচনা করা হলো।
পেজ সূচিপত্রঃ বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম
- আর্টিকেলের টাইটেল
- আর্টিকেলের ভূমিকা
- ফিচার ইমেজ
- প্যারাগ্রাফ শিরোনাম
- আর্টিকেলের বডি
- আর্টিকেলে আপনি আমি ব্যবহার
- আর্টিকেল অ্যালাইন্টমেন্ট
- আর্টিকেল রাইটিং ফরমেটিং নীতিমালা
- পোস্ট টাইটেল এবং মেটা টাইটেল - SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল
- পোস্ট মেটা ডিস্ক্রিপশন - SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল
- ইমেজ অল্টারনেটিভ এট্রিবিউট - SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল
- ইন্টারলিঙ্ক এবং অ্যাঙ্কর টেক্সট - SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল
- কনক্লিউশন
আর্টিকেলের টাইটেল
একটি আর্টিকেলের বা পোস্ট এর টাইটেল বা শিরোনাম যেন পাঁচ থেকে নয় শব্দের মধ্যে হয় এবং পোস্ট শিরোনাম পড়ে যেন বোঝা যায় পুরো পোস্টে কি থাকছে। প্রতি ১০ জন পাঠকের মধ্যে আট জন পাঠকের শুধুমাত্র এই পোস্ট না পড়েই অন্য কোথাও চলে যায়। যদি পোস্ট শিরোনাম তাদের পছন্দ না হয়।
আর্টিকেলের ভূমিকা
আর্টিকেল লেখার সঠিক নিয়ম হল কোন আর্টিকেলের বা পোস্টের শুরুতেই ৪/৫ লাইনের একটি
ভূমিকা লিখবেন। যাতে পাঠক পোস্ট এর শুরুর প্যারা বা ভূমিকা পরে বুঝতে পারে পুরো
পোস্টে সে কি কি পেতে যাচ্ছে। অনেক পাঠকই শুধুমাত্র ভূমিকা পড়ার পর আর পোস্ট
পড়ে না যদি ভূমিকাতে ক্লিয়ার ইনফরমেশন না থাকে যে পুরো পোস্টে কি কি থাকছে।
ফিচার ইমেজ
প্রত্যেকটি আর্টিকেলের বা পোস্ট এর ভেতরে ন্যূনতম একটি প্রাসঙ্গিক ইমেজ রাখতে হবে। একটি পিকচার কোন পোস্টকে অনেক অর্থবোধক করে তুলে। পাঠকরা শুধু লাইনের পর লাইন করতে চাই না প্রাসঙ্গিক পিকচার ও দেখতে চাই। তাই পোস্টের পিকচার ব্যবহারের ক্ষেত্রে কার্পণ্য করবেন না টাইটেল ও ফিচার ইমেজের টেক্সট যেন ভিন্নতা থাকে।
প্যারাগ্রাফ শিরোনাম
আপনি ছোট ছোট প্যারা করে লিখবেন এবং প্যারাগ্রাফ গুলোর শিরোনাম দেবেন সাবহেডিং ব্যবহার করে। যাতে পাঠকরা বুঝতে পারে কোন প্যারাতে কি সম্পর্কে লিখা আছে চেষ্টা করবেন প্রতিটি বেড়াতে যেন গড়ে পাঁচ লাইন লিখা থাকে। যদি কোন প্যারাতে অনেক বেশি ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয় তাহলে সেটি কয়েকটি পেড়াতে ভাগ করে লিখুন। একটি প্যারা শিরোনাম বা সাভেনিং এর মধ্যে তিনটির বেশি প্যারাগ্রাফ রাখা উচিত নয়।
আরো পড়ুনঃ সহজে বাটন মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
আর্টিকেলের বডি
একটি পারফেক্ট পোস্টে ন্যূনতম পাঁচটি প্যারাগ্রাফ শিরোনাম বা সাবহেডিং রাখা উচিত। আর একটি পোস্টে নূন্যতম দশটি প্যারা রাখা উচিত। পোস্টে সব মিলিয়ে ১৫০০ তার বেশি শব্দ ব্যবহার করা উচিত। কোন কিছুর বৈশিষ্ট্য বা সুবিধা-অসুবিধা লেখার সময় সেগুলো প্যারাগ্রাফ এর মত লাইনের পর লাইন না লিখে বুলেট লিস্ট আকারে লিখা উচিত। একটি পোস্ট এর মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রাসঙ্গিক লিংক রাখা উচিত যেন পাঠকরা সে ব্যাপারে আরো বিস্তারিত জানতে পারে।
আর্টিকেলে আপনি আমি ব্যবহার
যখন কোন পোস্ট লিখবেন তখন আপনি আমি এই ধরনের শব্দের ব্যবহার বেশি করবেন যাতে করে পাঠকরা মনে করে আপনি তাদের সাথে গল্প করছেন। আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলির মধ্যে এটি একটি সেরা টিপস।
আর্টিকেল অ্যালাইন্টমেন্ট
পোস্ট এর ভিতর পিকচার গুলো সেন্টার এলাইনমেন্টে রাখবেন এবং লেখাগুলোকে জাস্টিফাই এলাইনমেন্টে রাখবেন যাতে দেখতে বইয়ের লিখার মতো মনে হয়।
আর্টিকেল রাইটিং ফরমেটিং নীতিমালা
স্টেপ ১ :
- পোস্ট টাইটেল বা শিরোনাম পাঁচ থেকে আট শব্দের মধ্যে লিখতে হবে
- পোস্ট টাইটেল ৬০ ক্যারেক্টার এর মধ্যে হতে হবে
- পোস্ট টাইটেল লোভনীয় করে লিখতে হবে যেমন দশটি, পনেরোটি, কার্যকরী, ট্রিকস টিপস ইত্যাদি কথা ব্যবহার করা যাবে
- প্রশ্নবোধক, দারি, কমা, হাইফেন ব্যতীত অন্য কোন বিশেষ চিহ্ন টাইটেলে ব্যবহার করা যাবে না
স্টেপ ২ :
- পোষ্টের শুরুতে একটি ভূমিকা বাটন বানাতে হবে
- ভূমিকা বাটনের মধ্যে পাঁচ ছয় শব্দ ব্যবহার করা যাবে
- ভূমিকা বাটনের অন্য পোস্ট রিলেটেড ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে
- ভূমিকা বাটনের কালার থিমের ব্র্যান্ড কালারে হতে হবে
স্টেপ ৩ :
- মেটা ডেসক্রিপশন ৪ লাইন লিখতে হবে
- ভূমিকা বাটনের নিচে এবং ফিচার ইমেজের উপরে দুই লাইন
- ফিচার ইমেজে ১ এর নিচে এবং পেজ সূচিপত্রের উপরে দুই লাইন
স্টেপ ৪ :
- পেজ সূচিপত্র দিয়ে কোলন দিয়ে ফোকাস কিওয়ার্ড লিখতে হবে
- পেজ সূচিপত্রের নিচে প্রয়োজনীয় দশটি হেডিং ব্যবহার করতে হবে
- প্রথম হেডিং ফোকাস কিওয়ার্ড দিয়ে লিখতে হবে
স্টেপ ৫ :
- প্রতিটি হেডিং পাঁচ থেকে আট শব্দের মধ্যে লিখতে হবে
- প্রতিটি হেডিং এর নিচে সর্বনিম্ন দুইটি প্যারা লিখতে হবে
- প্রতিটি হেডিং এর নিচে সর্বোচ্চ পাঁচটি প্যারা লেখা যাবে
স্টেপ ৬:
- প্রতিটি প্যারায় সর্বনিম্ন সাড়ে তিন লাইন লেখা রাখতে হবে
- প্রতিটি প্যারায় সর্বোচ্চ ৫ লাইন লেখা রাখা যাবে
- পোষ্টের সবগুলো লিখা নরমাল অথবা প্যারাগ্রাফ ফরমেট এ রাখতে হবে
- সবগুলো লেখা জাস্টিফাই অ্যালাইনমেন্ট এ রাখতে হবে
স্টেপ ৭ :
- প্রতিটি পোষ্টের মধ্যে তিনটি আরো পড়ুন সেকশন ব্যবহার করতে হবে
- কোন পোস্ট অযথা ইটালিক, বোল্ট, কালার পিকার থেকে কালার নিয়ে ডিজাইন করা যাবে না
- প্রতিটি পোস্টের মধ্যে তিনটি ফিচার ইমেজ ব্যবহার করতে হবে
- প্রতিটি ফিচার ইমেজ এআই দিয়ে তৈরি করতে হবে
স্টেপ ৮ :
- শেষ কথা দিয়ে কোলন দিয়ে ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে
- শেষ কথার নিচে দুইটি প্যারা লিখতে হবে
স্টেপ ৯ :
- পোস্ট লেখার আদর্শ সময় ভোর ৪:৩০ মিনিট থেকে ৬:৩০ মিনিট পর্যন্ত
স্টেপ ১০ :
- পোস্ট পাবলিশ করার আদর্শ সময় সকাল ৯ টা থেকে দশটা, দুপুর ২ টা থেকে তিনটা, সন্ধ্যা সাতটা থেকে আটটা, রাত নয়টা থেকে দশটা
- প্রতিটি কনটেন্ট সর্বনিম্ন ১৫০০ শব্দ লিখতে হবে
পোস্ট টাইটেল এবং মেটা টাইটেল - SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল
- পোস্ট টাইটেলঃ এটা হলো পাঠকরা ওয়েবসাইটে আপনার পোষ্টের টাইটেল কিভাবে দেখে।
- মেটা টাইটেলঃ মেটা টাইটেল হলো সার্চইঞ্জিল কিভাবে আপনার পোস্ট অনুসন্ধানকারীদের দেখায়। যদি আপনি এসইও সেটিংস এ একটি মেটা টাইটেল স্পেসিফিক করে না দেন তাহলে আপনার পোস্ট টাইটেলই মেটা টাইটেল হিসাবে ধরে নেবে
পোস্ট মেটা ডিস্ক্রিপশন - SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল
ফাস্ট ইঞ্জিল রেংকিংয়ে পোস্ট মেটা ডিস্ক্রিপশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি মেটা ডিসক্রিপশন কে আপনার ব্লক পোষ্টের জন্য সেলস কপি হিসেবে বিবেচিত করতে পারে। ১৫৬ অক্ষরের মধ্যে আপনাকে কী ওয়ার্ড সংযুক্ত করতে হবে এবং এমন কিছু বর্ণনা সৃষ্টি করতে হবে যেন সেটা ব্যবহারকারীদের জন্য আকর্ষিত হয়।
ইমেজ অল্টারনেটিভ এট্রিবিউট - SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল
গুগল একটি ইমেজ বা ছবিকে পড়তে পারি না। তাই সার্চ ইঞ্জিল গুগলকে আপনার সংযুক্ত ছবি কি সম্পর্কিত সেটা বুঝিয়ে দেয়ার জন্য সংযুক্ত ছবির সাথে সঠিক বর্ণনা নাম ব্যবহার করতে হবে।
ইন্টারলিঙ্ক এবং অ্যাঙ্কর টেক্সট - SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল
যখন আপনি একটি নতুন পোস্ট লিখবেন তখন অবশ্যই আগের ব্লগ পোস্ট গুলোর প্রাসঙ্গিক লিংক নতুন পোস্টে সংযুক্ত করে দিবেন। এটা একটা ভালো চিন্তা, যেটা আপনার পাঠকদের আপনার সাইটের সংযুক্ত রাখবে দীর্ঘ সময়ের জন্য। এর ফলে সার্চ ইঞ্জিল আপনার আগে পোস্টগুলো পুনরায় চেক করার সুযোগ পাবে। এটা আপনার সাইটের নবায়নযোগ্য হতে সাহায্য করবে যেটা বাউন্স রেট কমিয়ে দিবে এবং এটা আরো একটি এসইও ফ্যাক্টর।
যখন আপনি ইন্টার লিংকে যাবেন তখন অ্যাঙ্কর টেক্সট টেকনিক ব্যবহার করুন। তবে আপনার পোস্টে টাইটেলে আপনি যে পোস্ট লিঙ্ক যুক্ত করবেন সেটার টাইটেলে অবশ্যই মেইন কিওয়ার্ড সংযুক্ত করবেন।
কনক্লিউশন
পুরো পোস্ট লেখা শেষে আপনার ব্যক্তিগত মতামত দিয়ে চার পাঁচ লাইন কনক্লিউশন লিখে রাখা উচিত। যাতে করে পোস্টের বিভিন্ন অংশ সম্পর্কে পাঠকরা আপনার বা লেখকের মতামত পাই।
টেকনি টিউব ইনফো'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url