এসি কিভাবে ঘরকে ঠান্ডা করে চলুন জেনে নেওয়া যাক




আমরা বাসায় কমবেশি সবাই এসি ব্যবহার করি কিন্তু এই এসি ঠিক কিভাবে কাজ করে তা অনেকেরই অজানা আমরা রুমের মধ্যে এসির ঠান্ডা ঠান্ডা বাতাসের মজাটা নিয়ে থাকি কিন্তু এসি ঠিক কিভাবে আমাদেরকে এই ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল বাতাস দিচ্ছে তা অনেকেই জানিনা।  এজন্য আজ আপনাদেরকে আমরা জানানোর চেষ্টা করব যে এই এসি ঠিক কিভাবে কাজ করে কিভাবে এই গরমে ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল বাতাস দিয়ে থাকে এবং এসির কম্প্রেসার এর ভিতরে কি কি টেকনোলজির বিষয় রয়েছে তার সমস্ত খুঁটিনাটি জানানোর চেষ্টা করব। তো চলুন আর বেশি বকবক না করেই মূল আলোচনায় যাওয়া যাক.....


এসি কী?


এসি বা যেটাকে পুরো অর্থে বললে বলা হয় এয়ার কন্ডিশনার। 

এসি কী ভাবে কাজ করে সেটা জানতে গেলে তার আগে আপনার এটা যে নিয়মের উপর কাজ করে সেই নিয়মটা আগে জানতে হবে। নিয়মটা হলো বাতাস বা কোন গ্যাসকে যখন হাই প্রেসার জোন থেকে লো প্রেসার জোনে নিয়ে যাওয়া হয় তখন সেটা প্রচন্ড ঠান্ডা হয়ে যায়। যারা হাই প্রেসার জোন এবং লো প্রেসার জোন  বোঝেনা তাদের জন্য একটু সহজে  বলি, ধরুন আপনার বাইকের চাকায় হাওয়া ভরা আছে তাহলে বাইরের বাতাসের থেকে বাইকের চাকার ভিতরে বাতাসের প্রেসার অনেক বেশি মানে চাপ অনেক বেশি। তাই এখানে ঔ চাকার ভিতরে বাতাসকে বলা হবে হাই প্রেসার জোন এবং নরমাল বাইরের বাতাসকে বলা হবে লো প্রেসার জোন। আর নিয়মটা হলো ঔ হাই প্রেসার থেকে লো প্রেসার জোনে আসলে কোন গ্যাস লো প্রেসার জোনে আসার সময় অনেক ঠান্ডা হয়ে যায়। উদাহরণ হিসেবে আমরা যদি মুখ দিয়ে ঠান্ডা বাতাস বের করতে চাই তাহলে ঠোঁটটাকে ছোট করে নিয়ে ফু দিলেই মুখ দিয়ে ঠান্ডা বাতাস বের হয়। আবার সেই মুখ দিয়ে যদি আমরা গরম বাতাস বের করতে চাই তাহলে মুখটাকে বড় করে খুলে বাতাস বের করলেই গরম বাতাস বের হয় এটা কেন হয়। একই মুখ দিয়ে একই বাতাস বের করছি কিন্তু একবার ঠান্ডা করে বের করতে পারছি একবার গরম করে বের করতে পারছি। এটা হয় ওই চাপের পার্থক্যের জন্য। মানে আমরা যখন মুখ দিয়ে ঠান্ডা বাতাস বের করতে চাই তখন কি করি, মুখের ভিতর অনেকটা বাতাস ভরে নিয়ে কিছুটা চাপ সৃষ্টি করে ঠোঁটটাকে একবারে সরু করে বার করি। যার ফলে বাতাসটা মুখের ভেতরের হাই প্রেসার জোন থেকে বাইরের লো প্রেসার জোনে যাই আর এই জন্য তার তাপমাত্রা কমে যায়। আর যখন মুখ দিয়ে গরম বাতাস বের করতে চাই তখন মুখের ভিতরে কোন চাপ সৃষ্টি না করেই মুখ দিয়ে নরমাল বাতাস বের করলেই মুখ দিয়ে গরম বাতাস বের হয়। কারন আমাদের শরীরের ভিতরে তো গরম তাই  নরমাল ভাবে  বাতাস বের করলেই মুখ দিয়ে গরম বাতাস বের হয়। আবার একটা যদি উদাহরণ দিই তাহলে বিষয়টি ক্লিয়ার ভাবে বুঝতে পারবেন আবার দেখবেন রান্নার গ্যাস বা লাইটারে থাকা গ্যাস না জালিয়ে সিলিন্ডার থেকে সজোরে বার করলে সেটাও খুব ঠান্ডা হয়ে যায়। এখানেও ঠিক এই নিয়মে কাজ করে। মানে সিলিন্ডার ভেতরে হাই প্রেসার জোন থেকে বাইরের লো প্রেসার জোনে আসে তাই প্রচন্ড ঠান্ডা হয়ে যায়। এটাই হলো এসির মেন নিয়ম। গ্যাসের এই  চাপের পার্থক্যের জন্য এই ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার গুনটাকে কাজে লাগিয়েই এসি বা ফ্রিজ বানানো হয়েছে। এটার আবার উল্টোটাও হয়। যেমনটা বললাম যে গ্যাস হাই প্রেসার জোন থেকে লো প্রেসার জোনে গেলে যেমন ঠান্ডা হয়ে যায় ঠিক তার উল্টো লো প্রেসার জোন থেকে হাই প্রেসার জোন গেলে আবার গরম হয়ে যায়। এখানে আমাদের গরম হয়ে যাওয়াটা কোন কাজে আসবে না ঠান্ডা হয়ে যাওয়াটায় কাজে আসবে। তাই এবারে দেখা যাক এই নিয়মটা কীভাবে এসিতে ব্যাবহার করে এসি থেকে ঠান্ডা হাওয়া নেওয়া যায়।



এসির কম্প্রেসার কিভাবে কাজ করে?


এসির প্রধান জিনিস হলো একটা লম্বা সরু কপারের পাইপ এবং এই পাইপের প্রধান চারটি অংশ থাকে। প্রথম হলো কম্প্রেসার। এই কম্প্রেসার থেকে পাইপটা বেরিয়ে কিছুটা দূর গিয়ে ঔ পাইপের একটা কুণ্ডলী প্যাচানো অংশ থাকে তার পিছনে একটা বড় পাখা বা ফ্যান লাগানো থাকে। আর এই কুন্ডলি পেঁচানো অংশটাকে বলা হয় কনডেন্টসর তারপর সেই কুন্ডলী পাকাতে পাকাতে সেখান থেকে আবার পাইপ বেরিয়ে গিয়ে যে অংশে যায় সেই অংশ টাকে বলা হয় Expansion Valve তারপরে পাইপটা ওই Expansion Valve থেকে বেরিয়ে গিয়ে আবার কিছুটা দূর গিয়ে আবার সেই পাইপের কিছুটা কুণ্ডলী পাকানো অংশ থাকে এবং তার পিছনেও একটা ছোট পাখা বা ফ্যান লাগানো থাকে। আর এই কুন্ডলী পাকানো অংশটাকে বলা হয় Evaporator তারপর সেই কুণ্ডলী পাকাত  পাকাতে আবার পাইপ টা বেরিয়ে গিয়ে আবার কম্প্রেসরে ফিরে যাই। আর এই পাইপের ভিতরে এক ধরনের গ্যাস দেওয়া থাকে যেটাকে রেফ্রিজারেন্ট বলা হয়। আপনি এই রেফ্রিজারেন্ট কে গ্যাসও বলতে পারেন আবার তরলও বলতে পারেন কারন আমরা সবাই জানি যেকোনো তরল পদার্থকে তাপ দিয়ে গরম করলে সেটা বাষ্পে পরিণত হয় আর সে বাষ্পটাকে গ্যাস বলা যায়। আবার সেই বাষ্প থেকে তাপ শোষণ করে নিলে আবার সেটা তরলে পরিণত হয়। যেমন আপনি পানিকে তাপ দিয়ে গরম করলে বাষ্পে পরিণত হয় আবার সেই বাষ্প থেকে তাপ শোষণ করে নিলে আবার সেটা পানিতে পরিণত হয়। এই রেফ্রিজারেন্টটাও সেই রকম কিন্তু এই রেফ্রিজারেন্টের বোলিং টেম্পারেচার পানির থেকে  অনেক কম হয় মানে এটা পানির থেকে অনেক কম তাপমাত্রায় বাষ্প হতে পারে। 





কম্প্রেসার এসিকে কিভাবে ঠান্ডা করে?


তো চলুন এবার দেখা যাক এগুলো মিলে এসির ভেতরে কি কান্ডটা ঘটায়।  এই কাণ্ড ঘটার শুরুটা কম্প্রেসার থেকেই হয়। কম্প্রেসার মানে এর নামেই বোঝা যাচ্ছে যে এটা চাপ দিয়ে কমপ্রেস করে। যেমন ইঞ্জিনের ভিতরে ইঞ্জিনের পিস্টনটাও একটা কম্প্রেসার ইঞ্জিনের ভিতরে ইনটেক্স টোকের পরে পিস্টন টা যেমন বাতাসকে চাপ দিয়ে কমপ্রেস করে এখানেও ঠিক তেমনটাই ঘটে। তবে এসিতে রেফ্রিজারেন্ট কে ভালোভাবে কমপ্রেস করার জন্য Solclock কম্প্রেসার ব্যাবহার করা হয় যেটা ওপর থেকে দেখলে দুটো মশা মারার কয়েল মত দেখতে হয়। আবার রেফ্রিজেটরে একদম ইঞ্জিনের পিস্টনের মতোই কম্প্রেসার ব্যবহার করা হয়। যেখানে যেমনি দেখতে হোক না কেন এর মেন কাজ হল গ্যাসকে কমপ্রেস করা আর হ্যাঁ কমপ্রেস শুধু বাতাস বা বাতাসের মত  গ্যাসকেই করা যায় কোন তরল পদার্থ কে কম্প্রেস করা যায় না।  তাই অবশ্যই পাইপের ভিতরে ওই রেফ্রিজারেন্টটা যখনই কম্প্রেসার দিয়ে কমপ্রেস হয় তখন সেটা গ্যাস অবস্থায় থাকে মানে বাস্পো অবস্থায় থাকে। এরপর কম্প্রেসর থেকে বেরিয়ে রেফ্রিজারেন্টটা প্রচন্ড গরম হয়ে যায় কারণ আমরা মোটামুটি সবাই জানি কোন গ্যাসকে চাপ দিয়ে কমপ্রেস করলে সেটা প্রচন্ড পরিমাণে গরম হয়ে যায় এরপর কম্প্রেসার থেকে বেরিয়ে এসে গরম রেফ্রিজারেন্টটা পাইপ দিয়ে গিয়ে পাইপের সেই প্যাচানো অংশে গিয়ে পৌঁছায় যে অংশটাকে আমি কনডেন্সার বলেছিলাম। কনডেন্সারের মেন কাজ হলো রেফ্রিজারেন্ট টাকে কিছুটা ঠান্ডা করে তরলে পরিণত করা। কারণ কম্প্রেসার  থেকে বেরিয়ে রেফ্রিজারেন্ট তো গরম গ্যাস অবস্থায় আছে তাই কনডেন্সার সেটাকে কিছুটা ঠান্ডা করে তরলে পরিণত করে।  এই কনডেন্সর এবং বাইকের রেডিওরেটর একদম সেম জিনিস । বাইকে রেডিওরেট গরম কুলেন টাকে ঠান্ডা করে এখানে এই কনডেন্সারটা সেম পদ্ধতিতে গরম রেফ্রিজারেন্ট টাকে ঠান্ডা করে তাই এই উপায়ে কিভাবে রেফ্রিজারেন্ট টাকে ঠান্ডা করে সেটা একটু সহজে বলি। আমরা যখন গরম চা বা গরম কোন জিনিস খাই সেটা যদি অতিরিক্ত গরম হয় তাহলে আমরা মুখ দিয়ে ফু দিয়ে কিছুটা ঠান্ডা করে নিই আর ফু টা যখন বেশিক্ষণ ধরে দি সেটা ততো বেশি ঠান্ডা হয়।  ঠিক সেই রকমই এইখানে ঔই গরম রেফ্রিজারেন্ট টাকে পাইপ দিয়ে পাস করানো হয় এবং তার পেছনে লাগানো থাকে পাখা বা ফ্যান তাই সে রেফ্রিজারেন্ট কে যতক্ষণ ওই পাখা বা ফ্যান সামনে রাখা যাবে সেটা ততো বেশি ঠান্ডা হবে। ঠান্ডা হয়ে যাবে বলে আবার ভাববেন না যে পুরো ঠান্ডা  বরফ হয়ে যাবে মানে অতিরিক্ত গরম থেকে নরমাল টেম্পারেচারে আসবে  তাই এখানে ওই রেফ্রিজারেন্ট কে একটু বেশি সময় পাখার সামনে রাখতে পাইপকে ওইভাবে গুলিয়ে গুলিয়ে তার রাস্তা বাড়ানো হয়। মানে বেশিক্ষণ ধরে গরম চায়ে ফু দেওয়ার মতন ব্যাপার। ওই জন্য এই জায়গায় পাইপটা এই ভাবে গুলানো থাকে এবং সেই পাইপে হাওয়া মারার জন্য তার পিছনে পাত লাগানো থাকে। আর এই পুরো কনডেন্সারের সেটআপ টা ঘরের বাইরে লাগানো থাকে। এরপর ওই রেফ্রিজারেন্ট টা ওই কনডেন্সরের কয়েলের ভিতর দিয়ে পাস হওয়ার ফলে কিছুটা ঠান্ডা হয়ে গিয়ে তরলে পরিণত হয় তারপর ওই কিছুটা ঠান্ডা হওয়া তরল রেফ্রিজারেন্ট যায় Expansion Vave এর মধ্যে। Expansion Vave এ গিয়েই আসল ঘটনাটা ঘটে। Expansion Vave এর ঔ জায়গায় গিয়েই পাইপ টা হঠাৎ করে অনেকটা সরু হয়ে যায় আর যার ফলে রেফ্রিজারেন্টটা প্রচন্ড স্প্রিটে স্প্রে আকারে ঔ Valve এর এপিট থেকে ওপিটে যায় আর এই পাইপের সরু অংশ দিয়ে রেফ্রিজারেন্টটা প্রচুর স্পীডে এপিট থেকে ওপিটে যাওয়ার ফলেই রেফ্রিজারেন্টটা প্রচুর পরিমাণে ঠান্ডা হয়ে যায় । কারণ কম্প্রেসার থেকে শুরু করে Expansion Valve পর্যন্ত রেফ্রিজারেন্ট টা প্রচন্ড চাপের মধ্যে থাকে কারণ কম্প্রেসার টা অনবরত রেফ্রিজারেটরকে কম্প্রেস করে এই পিটে ঢুকাচ্ছে তাই এই অংশটা তৈরি হয়ে যায় হাই প্রেসার জোন এবং Expansion Valve ও পিট টায় পুরোটাই খালি থাকাই ওটা হয়ে যায় লো প্রেসার জোন। আর এই নিয়মটা আমি আগেই বলে দিয়েছি হাই প্রেশার জোন থেকে লো প্রেসার জনে গেলে কোন গ্যাস প্রচন্ড পরিমাণে ঠান্ডা হয়ে যায়।  এরপর এই ঠান্ডা রেফ্রিজারেন্ট টা চলে যায় আরো একটা প্যাঁচানো অংশে যেটাকে বলেছিলাম Evaporator আর এই  Evaporator টাই ঘরের মধ্যে লাগানো থাকে। Evaporator এও কনডেন্সার মত পাইপ কিছুটা প্যাচানো থাকে এর পিছনেও লাগানো থাকে একটা ফ্যান। তবে এই ফ্যানটা কনডেন্সারের মতো রেফ্রিজারেন্ট কে ঠান্ডা করার জন্য লাগানো থাকে না রেফ্রিজারেন্টে ঠান্ডাটা ঘরের ভেতর ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য লাগানো থাকে। কারন Expansion Valve পার করলেই তো রেফ্রিজারেন্টটা প্রচন্ড পরিমাণে ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। সেই ঠান্ডাটা এই ফ্যানটা ঘরের মধ্যে ছড়িয়ে দেই আর সেই ঠান্ডার মজাটাই আমরা ঘরে বসে বসে নেই। যদিও আমার এসি নেই আমি নিই না যারা নেই তারা নেই আর কি। এরপর কি হয় ঔ রেফ্রিজারেন্টটা ঔ Evaporator এর পাইপের ভেতর দিয়ে পাস হতে হতে ঘরের গরমে আবার বাষ্প হয়ে যায়। কারণ তার ঠাণ্ডাটা ঘরে ছড়িয়ে যায় এবং ঘরের গরমটা নিয়ে সে আবার বাষ্প হয়ে যায় তারপর সে আবার কম্প্রেসারে  ঢুকে যাই। আর এই কম্প্রেসারে ঢোকার আগে রেফ্রিজারেন্টটা পুরোটা বাষ্প হতেই হবে না হলে কম্প্রেসার ব্লাস্ট করে যাবে। কারণ আমি আগেই বলেছি যে গ্যাসকে কমপ্রেস করা যায় কিন্তু কোন তরলকে কম্প্রেস করা যায় না । তাই এখানে অনেকে ভাববে ঘরের ভিতরে থাকা Evaporator এর মধ্যে সাধারণ ঘরের গরমে রেফ্রিজারেন্টটা আবার বাস্পো হয় কি করে। এর একটাই কারন আগেই বলে দিয়েছি যে রেফ্রিজারেন্ট গ্যাসটা অনেক কম তাপমাত্রায় বাষ্প হতে পারে আরো একটা কারণ হলো রেফ্রিজারেন্টটা যখন  Expansion Valve পার করে তখন সেটা তরল অবস্থায় ঢুকে কিন্তু সেটা স্পে আকারে ঢুকে মানে পানি যেরকম স্প্রে করলে বিন্দু বিন্দু আকারে ভেঙ্গে যায় ঠিক সেরকম রেফ্রিজারেন্টটা Expansion Valve পার করলে একদম স্প্রে আকার বিন্দু বিন্দু হয়ে যায়। তাই এই দুটো কারণে জন্য ঘরের ওই সামান্য তাপমাত্রাও এই রেফ্রিজারেন্ট আবার বাষ্প হয়ে যায়। তারপরে সেই রেফ্রিজারেন্ট বাষ্প আবার কম্প্রেসারে এপার দিয়ে ঢুকে এবং কম্প্রেসারে গিয়ে কম্প্রেস হয়ে আবার ওপারে গিয়ে বের হয়। তারপর সেই যা যা হতো তাই তাই হয়। এইভাবে এই সাইকেল  ওই  পাইপের ভিতরে অনবরত চলতেই থাকে এটা ততক্ষণ চলতে থাকে যতক্ষণ না ঘরে টেম্পারেচার অনেক কমে যাচ্ছে।  মানে সরাসরি বললে ওই রেফ্রিজারেন্ট গ্যাসটা ওই পাইপের মধ্য দিয়ে ঘুরপাক খায় এবং কম্প্রেসার Expansion Valve মিলে রেফ্রিজারেন্ট কে নিয়ে খেলা করেই এসি কাজ করে মানে হাই প্রেসার জোন থেকে লো প্রেসার জোন লো প্রেসার জোন থেকে হাই প্রেসার জোন বাষ্প থেকে তরল তরল থেকে বাষ্প এইভাবে করেই এসি কাজ করে। অনেকে বলে কিছুদিন পরপর এই এসির ভেতরের রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস শেষ হয়ে যায়। এটা সম্পূর্ণ ভুল কথা কারণ এটা বদ্ধ পাইপের ভিতরেই ঘোরাফেরা করে এই রেফ্রিজারেন্ট এর সাথে বাইরের কোন কন্টাক্ট থাকে না।  তাই তার শেষ হওয়ার কোন ব্যাপার নেই হ্যাঁ শেষ তখনই হতে পারে যদি ওই পাইপের ভিতরে কখনো কোন লিকেজ হয়। এই হলো এসির মেন কাজ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের পোষ্টটি আপনার কাছে কেমন লেগেছে তা কমেন্ট করুন

comment url